### **শিশু আছিয়া হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন**
**March 19, 2025**
মাগুরার শ্রীপুরে আট বছরের শিশু আছিয়া খাতুনকে ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় চার আসামির মধ্যে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড এবং একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
### **রায় ঘোষণা ও আদালতের পর্যবেক্ষণ**
আদালত বলেন, "এই নৃশংস ঘটনা সমাজের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এমন অপরাধ আরও বাড়বে।"
### **যাদের শাস্তি হয়েছে**
- **মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি:**
1. **হিটু মোল্লা (৫৫)** – প্রধান অভিযুক্ত
2. **সাইফুল ইসলাম (৩২)** – সহযোগী
3. **রশিদ মোল্লা (৪৫)** – পরিকল্পনাকারী
- **যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি:**
- হিটুর স্ত্রী **আসমা খাতুন (৫০)**, যিনি প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন।
### **মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ**
২০২৫ সালের ৫ মার্চ মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গেলে আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়। ঘটনার পরদিন সে তার পরিবারের কাছে নির্যাতনের বর্ণনা দেয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে এক সপ্তাহ পর সে মৃত্যুবরণ করে।
### **অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তি ও সাক্ষ্য**
আদালতে প্রধান আসামি হিটু মোল্লা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ মামলায় মোট ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
### **রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের প্রতিক্রিয়া**
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, "এটি ন্যায়বিচারের উদাহরণ। শিশু নির্যাতনকারীদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।" তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
### **সামাজিক প্রতিক্রিয়া**
আছিয়ার মৃত্যুর পর দেশজুড়ে প্রতিবাদ ও ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলন হয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলোও দ্রুত বিচার দাবি করেছিল।
এই রায় সমাজে ন্যায়বিচারের বার্তা দেবে এবং ভবিষ্যতে শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।