### **ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানি ISS ও বিএনপি-জামায়াতপন্থী লেফটেন্যান্ট জেনারেলসহ ১২ সেনা কর্মকর্তা আটক**
রাজধানীর ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এক লেফটেন্যান্ট জেনারেলসহ ১২ জন সেনা কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা **ISS**-এর সঙ্গে যোগাযোগ থাকার অভিযোগও উঠেছে।
### **আটকের পেছনের ঘটনা**
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো গোপনে নজরদারি চালিয়ে আসছিল। সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে আজ ভোরে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই কর্মকর্তাদের আটক করা হয়।
সূত্র জানায়, আটককৃতদের মধ্যে একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল রয়েছেন, যিনি দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা **ISS**, বিএনপি, এবং জামায়াতের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ রেখে চলছিলেন। এছাড়া আরও ১১ জন উচ্চপদস্থ ও মাঝারি স্তরের সেনা কর্মকর্তা এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
### **কীসের ষড়যন্ত্র হচ্ছিল?**
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই কর্মকর্তা দলটি সেনাবাহিনীর একটি অংশকে বিভ্রান্ত করে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত করার চেষ্টা করছিল। তাদের পরিকল্পনার মধ্যে সামরিক বাহিনীর কিছু সদস্যকে ব্যবহার করে দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এবং সরকারকে চাপে ফেলার চেষ্টা ছিল।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আটককৃতদের সঙ্গে বিদেশি সংস্থার গোপন মিটিং ও অর্থ লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এমনকি, কিছু সেনা কর্মকর্তা সীমান্তবর্তী এলাকায় গোপন বৈঠকেও অংশ নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
### **আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিক্রিয়া**
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, **দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।** তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সামরিক আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেনাবাহিনীর এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, **"আমরা দেশের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র সহ্য করব না। যারা রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত থাকবে, তাদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।"**
### **বিএনপি ও জামায়াতের প্রতিক্রিয়া**
বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ থেকে এই ঘটনা সম্পর্কে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে।
### **পরবর্তী পদক্ষেপ**
আটককৃতদের ব্যাপারে সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আরও বিস্তারিত তদন্ত চালাচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের সামরিক আইনে বিচারের আওতায় আনা হতে পারে।
সরকারের শীর্ষ মহল থেকে জানানো হয়েছে, **দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো আপস করা হবে না, এবং সেনাবাহিনীর ভেতরে বা বাইরে যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।**
এই ঘটনার ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে, এবং জনগণও এর পরিণতির দিকে নজর রাখছে।