গোপালগঞ্জে এনসিপির লংমার্চে ফের হামলা: নিহত ২৩, উত্তপ্ত পরিস্থিতি
গোপালগঞ্জ, ১৬ জুলাই ২০২৫ —
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গোপালগঞ্জগামী লং মার্চের গাড়ি বহরে আবারও ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে উলপুর ও আশপাশের এলাকায় বহরের উপর একাধিক দিক থেকে সংঘবদ্ধ হামলা হয়। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৩ জন নিহত এবং বহু আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
🔥 হামলার ধরন ও পরিস্থিতি
এনসিপির লং মার্চ বহরের গাড়িগুলোর ওপর পাথর নিক্ষেপ, আগ্নিসংযোগ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরে যায় এবং অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় জনগণের একটি অংশ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
🚨 পুলিশের ভূমিকা
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,
"পরিস্থিতি খুবই জটিল। আমরা চেষ্টা করছি নিয়ন্ত্রণে আনতে। এখন পর্যন্ত বহু আহত হয়েছেন, এবং মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।"
🩸 হতাহতের সংখ্যা
স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকজন নিহতের দেহ গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।
🗣️ এনসিপির প্রতিক্রিয়া
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক এক বিবৃতিতে বলেন,
"এই হামলা রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসের বহিঃপ্রকাশ। আমাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রাকে ভয় পেয়ে সরকার ও তাদের সহযোগী সংগঠন আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।"
📍 পূর্বের প্রেক্ষাপট
এর আগে একই দিনে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তখনও উলপুরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, যেখানে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন। আজকের হামলা সেই উত্তেজনারই ধারাবাহিকতা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
উপসংহার
গোপালগঞ্জে আজকের এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল, দেশের রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলোর ওপর সহিংস হস্তক্ষেপ কতটা ভয়াবহ পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম, আহতদের নিয়ে হাসপাতালগুলোতে চলছে হাহাকার। পরিস্থিতি এখনও থমথমে।
🔔 আপডেটের জন্য চোখ রাখুন — এই ঘটনায় আরও তথ্য ও নাম প্রকাশ পেলে প্রতিবেদনটি হালনাগাদ করা হবে।