ভিপি নূর আর নেই: চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু




📰 ভিপি নূর আর নেই: চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু
📅 ঢাকা | ৩১ আগস্ট ২০২৫ | 
✍️ প্রতিবেদক: স্টাফ রিপোর্টার

গণঅধিকার পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (DMCH) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (ICU) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
তার বয়স হয়েছিল ৩৫ বছর।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, “ আজ রাতে  তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মাথার ভেতরে গুরুতর রক্তক্ষরণ ও নাকের হাড় ভেঙে যাওয়ার পর থেকে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিলেন। মেডিকেল বোর্ড সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে, কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।”

নুরুল হক নূর গত ২৯ আগস্ট রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় এক রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুরুতে কিছুটা সাড়া দিলেও অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তার মাথায় গভীর জখম, নাকের হাড় ভেঙে যাওয়া এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

চিকিৎসা বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. শামসুল আরেফিন বলেন, “মস্তিষ্কে হেমারেজ ও সিস্টেমিক শকে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করে দেয়।”


⚖️ বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি

নূরের মৃত্যুর পর রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিএনপি, গণফোরাম, ও বাম জোটসহ প্রায় সব বিরোধী রাজনৈতিক দল এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে ও একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে।

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, “নূরের মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনা নয়। এটা একটি পরিকল্পিত হামলার ফল। আমরা এর বিচার চাই।”


🕊️ শেষ শ্রদ্ধা ও জানাজা

ভিপি নূরের মরদেহ রাতেই সিটি মরচুয়ারিতে নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ রাখা হবে। পরে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। এরপর তাকে তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীতে দাফন করা হবে।


📌 সংক্ষিপ্ত জীবনী

নুরুল হক নূর ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সহাবস্থানের প্রতীক হয়ে ওঠেন। তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক সংস্কার ও গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন।

তার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল নেতার অধ্যায় পরিসমাপ্ত হলো।


ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

Post a Comment

Previous Post Next Post