ঢাকায় সেনা সংঘর্ষ, গ্রেফতার ১৫ কর্মকর্তাকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিদ্রোহী পক্ষ



🧨 ব্রেকিং নিউজ 

ঢাকায় সেনা সংঘর্ষ, গ্রেফতার ১৫ কর্মকর্তাকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিদ্রোহী পক্ষ

ঢাকা, ২৩ অক্টোবর ২০২৫:
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেতরে হঠাৎ শুরু হয়েছে অভূতপূর্ব বিভাজন ও সংঘর্ষ। বৃহস্পতিবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা সেনানিবাস ও সাভার ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গ্রেফতার হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে মুক্ত করতে একদল বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।

সেনানিবাসের ভেতর প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে গুলিবিনিময় চলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, এরপর ভারী অস্ত্রের আওয়াজে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। বিদ্রোহী পক্ষের সেনারা গার্ড পোস্ট ঘিরে ফেলে এবং কারাগারে থাকা ১৫ কর্মকর্তাকে ছিনিয়ে নেয় বলে জানা গেছে।


সরকারি সূত্রের বক্তব্য

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন—

“একটি বিদ্রোহী গ্রুপ সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা ভাঙার চেষ্টা করছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছি। রাজধানী ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।”

অন্যদিকে সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, “১৫ কর্মকর্তাকে জোরপূর্বক মুক্ত করার বিষয়টি তদন্তাধীন” এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বিদ্রোহী পক্ষের দাবি

বিদ্রোহী পক্ষের এক মুখপাত্র বিদেশি গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় দাবি করে—

“আমরা অন্যায় গ্রেফতারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। আমাদের সহকর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তাদের মুক্তি আমাদের ন্যায্য অধিকার।”

তারা আরও হুঁশিয়ারি দেয়, যদি সরকার “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার” করে, তবে তারা আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে।


রাজধানীতে টানটান উত্তেজনা

ভোরের সংঘর্ষের পর থেকে ঢাকার সেনানিবাস, তেজগাঁও ও কূটনৈতিক এলাকায় চরম নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। রাস্তায় টহল দিচ্ছে সাঁজোয়া যান। বিমানবন্দর রোডের একাংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে সরকারপন্থী ও বিদ্রোহী সেনাদের সমর্থকরা সামাজিক মাধ্যমে পাল্টাপাল্টি বার্তা ছড়াচ্ছে, ফলে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।


রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক উপদেষ্টা জানান—

“যেকোনো মূল্যে রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা রক্ষা করা হবে। সেনাবাহিনী ভেতরে বিভাজন দেশের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি।”

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ঘটনাটির ওপর নজর রাখছে বলে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।


সমাপ্তি

রাতভর সংঘর্ষ শেষে সকাল ৭টার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও সেনানিবাসের বেশ কিছু অংশ এখনো অবরুদ্ধ।
১৫ মুক্তিপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অবস্থান অজানা। রাজধানীর আকাশসীমায় এখনো সেনা হেলিকপ্টারের টহল চলছে।


Post a Comment

Previous Post Next Post