📰 **ব্রেকিং নিউজ: বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতার শেষ রাত, যমুনা ঘেরাও করেছে সেনাবাহিনী**
📅 তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫
🕒 সময়: রাত ১১:০০
✍️ রিপোর্টার: স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
---
ঢাকা, বাংলাদেশ — বাংলাদেশের রাজনীতিতে নাটকীয় মোড়। আজ গভীর রাতে দেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন *যমুনা* ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ বাহিনী। সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান দেশের সংবিধান স্থগিত করে জরুরি অবস্থা জারি করতে যাচ্ছেন এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সামরিক প্রশাসন গঠন করবেন।
### 🔥 **সেনাবাহিনীর অভিযান: যমুনা ঘেরাও**
রাত ১০টার দিকে রাজধানী ঢাকার বনানীতে অবস্থিত যমুনা বাসভবনের আশপাশে তীব্র নিরাপত্তা নজরদারি লক্ষ করা যায়। কয়েকটি সাঁজোয়া যান (APC) এবং সশস্ত্র সেনাসদস্য যমুনা ভবন ঘিরে ফেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবন এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
### ⚠️ **ঘোষণা আসছে?**
একাধিক সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে, রাত ১২টা নাগাদ জাতির উদ্দেশ্যে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের ভাষণ সম্প্রচার হতে পারে, যেখানে তিনি জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে “অস্থায়ী ক্ষমতা গ্রহণ”-এর কথা ঘোষণা করতে পারেন। ধারণা করা হচ্ছে, একটি “জাতীয় রক্ষাকারী কাউন্সিল” গঠন করে দেশে শৃঙ্খলা ফেরানো হবে।
### 👤 **ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোথায়?**
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। প্রেস সচিবালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি নিজ বাসভবনে আছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে তার পক্ষে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখনও দেওয়া হয়নি।
### 🛑 **রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া**
বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের উভয় নেতারা এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় নীরব। কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলছে না, তবে আভ্যন্তরীণভাবে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
একজন বিশ্লেষক বলেছেন:
> “এই পরিস্থিতি বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্য এক বিশাল ধাক্কা। যদি সেনাবাহিনী সত্যিই ক্ষমতা দখল করে, তবে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়াও আসবে খুব দ্রুত।”
### 🌐 **আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ**
জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ইতোমধ্যে “উদ্ভূত পরিস্থিতি” নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ব্রিটিশ ফরেন অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, “বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সব পক্ষের উচিত সংলাপে বসা।”
---
📌 **উপসংহার:**
বাংলাদেশ এক গভীর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বদলে যেতে পারে দেশের রাজনৈতিক চিত্র। জাতি আজ রাতে তাকিয়ে আছে টেলিভিশন স্ক্রিনে—এক নতুন ভোর না হয়তো এক দীর্ঘ অন্ধকার রাতের অপেক্ষায়।
---