**শিরোনাম: পারভেজ হত্যা মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ নেতা গ্রেফতার, তদন্তে নতুন মোড়**
**তারিখ: ২০ এপ্রিল ২০২৫**
**স্থানে: ঢাকা, বাংলাদেশ**
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে **বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের** পাঁচ নেতাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। রবিবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
**গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন:**
১. সাইফুল হক জনি
২. তানজিম হোসেন রাফি
৩. মাহিনুর রহমান রোহান
৪. আনিকা রহমান
৫. সানজিদা নাহার
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদের মধ্যে **আনিকা ও সানজিদা** পারভেজ হত্যাকাণ্ডের দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং প্ররোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
**ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) বলেন**, “আমরা সিসিটিভি ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান এবং মোবাইল কললিস্ট বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হয়েছি, এই পাঁচজন সরাসরি বা পরোক্ষভাবে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তদন্ত আরও এগোচ্ছে, প্রয়োজন হলে আরও ব্যক্তিকে আটক করা হবে।”
এদিকে, **বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি এক বিবৃতিতে** দাবি করেছে, তাদের নেতাদের ফাঁসানো হয়েছে এবং ঘটনাটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মোড় ঘুরিয়ে অন্যদিকে নেওয়া হচ্ছে।
**শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া:**
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তারা দ্রুত বিচার দাবি করেছেন এবং নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। একদল শিক্ষার্থী দাবি করছেন, “যে কেউ দোষী হোক, দল বা মত নয়, বিচারের আওতায় আসতে হবে।”
এখনো পলাতক রয়েছে আরও কয়েকজন সন্দেহভাজন, যাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে বনানী থানা পুলিশ।
**উপসংহার:**
পারভেজ হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার ও তদন্তের অগ্রগতি নতুন মোড় নিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সকল পক্ষের এখন প্রধান দাবি। তদন্তে যাদের নামই আসুক, কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা ও মানবাধিকারকর্মীরা।
---

