**শিরোনাম:**
**যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি**
**স্থান:** তেহরান, ইরান
**রিপোর্টার: আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা (ABS)**
তেহরানের আকাশে শুক্রবার গভীর রাতে ঘটে যায় ইতিহাসের এক রক্তাক্ত অধ্যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত একটি বিশেষ বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
স্থানীয় সময় রাত ২:২০ মিনিটে তেহরানের এক গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা স্থাপনায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ছয়টি নির্ভুল গাইডেড মিসাইল ওই এলাকায় আঘাত হানে। ইরানি সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেছে, হামলার সময় আয়াতুল্লাহ খামেনি তাঁর নিরাপত্তা কমান্ড সেন্টারে অবস্থান করছিলেন।
হামলার কিছুক্ষণের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে বিস্ফোরণের ভিডিও। দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ড বাহিনী তড়িৎ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করে এবং জরুরি সামরিক প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
যুক্তরাষ্ট্র এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার করেনি, তবে পেন্টাগন এক বিবৃতিতে বলেছে, “মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি রক্ষার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র তার কৌশলগত অবস্থানে দৃঢ় রয়েছে।” বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের একটি ‘প্রেসিশন অ্যাসাসিনেশন অপারেশন’।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই কাপুরুষোচিত হামলার জবাব কঠোরভাবে দেওয়া হবে। ইরান কখনো তার নেতা এবং জনগণের রক্ত বৃথা যেতে দেবে না।”
আন্তর্জাতিক মহলে এই হামলা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রাশিয়া, চীন ও তুরস্ক গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তদন্ত দাবি করেছে। অপরদিকে, ইসরায়েল এই হামলাকে "একটি কৌশলগত সাফল্য" বলে অভিহিত করেছে।
ইরানে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছে। তাঁরা ‘শহিদের রক্তের বদলা চাই’ বলে স্লোগান দিচ্ছেন।
বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে এটি এক নতুন উত্তাল সময়ের সূচনা হতে পারে—বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের জন্য।
---
.jpeg)