দিল্লিতে শেখ হাসিনা-তুলসী গ্যাবার্ড-অজিত ডোভালের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক

 ### **দিল্লিতে শেখ হাসিনা-তুলসী গ্যাবার্ড-অজিত ডোভালের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক**  


**নয়াদিল্লি, ১৮ মার্চ ২০২৫:** ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গতকাল রাতে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, বাংলাদেশ-ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এবং রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।  


### **বাংলাদেশের রাজনীতিতে মার্কিন আগ্রহ**  

সূত্রের বরাতে জানা গেছে, তুলসী গ্যাবার্ড বৈঠকে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,  

*"যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং গণতন্ত্র রক্ষায় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।"*  


গ্যাবার্ড শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তার সরকার পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য মার্কিন প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।  


### **ভারত-মার্কিন উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ**  

বৈঠকে অজিত ডোভালের সঙ্গে গ্যাবার্ডের কথোপকথনে বাংলাদেশের প্রসঙ্গও উঠে আসে। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চায়, যেখানে বাংলাদেশের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  


### **গ্যাবার্ডের মন্তব্য ও বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া**  

এর আগে এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,  

*"হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, হত্যা ও হেনস্থা গভীর উদ্বেগের বিষয়।"*  


এদিকে, গ্যাবার্ডের মন্তব্যকে বিভ্রান্তিকর ও অতিরঞ্জিত বলে অভিহিত করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তার বক্তব্য বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এবং এটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।  


### **আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক প্রভাব**  

গ্যাবার্ডের মন্তব্য ও শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বৈঠক বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে এবং আন্তর্জাতিক মহলেও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।  


**আরও বিস্তারিত জানতে, দেখুন:**  

[বাংলাদেশ নিয়ে তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য](https://www.youtube.com/watch?v=kdNjimvpTbI)

Post a Comment

Previous Post Next Post