বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ গ্রেপ্তার
সেনাবাহিনী আজ রাত আটটার দিকে একটি বিশেষ অভিযানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ্জামান সাহেবের একটি বক্তব্যকে ব্যঙ্গাত্মকভাবে পুনঃপ্রচার করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের প্রেক্ষাপট
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনাপ্রধানের বক্তব্যের একটি ব্যঙ্গাত্মক সংস্করণ ছড়িয়ে পড়লে এটি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। সামরিক বাহিনীর দাবি, এটি রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী এবং সেনাবাহিনীর মর্যাদাহানির চেষ্টা।
বিশেষ অভিযান ও গ্রেপ্তার
আজ সন্ধ্যার পর সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ দল হাসনাত আব্দুল্লাহর অবস্থান নিশ্চিত করে এবং রাত আটটার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযান চলাকালে তার সহযোগীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, তবে বড় কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ
হাসনাত আব্দুল্লাহর গ্রেপ্তারের ঘটনায় তার সমর্থকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং এ ঘটনাকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে, সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন যে, “রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক প্রচার সহ্য করা হবে না। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গ্রেপ্তারের পর হাসনাত আব্দুল্লাহকে কোথায় রাখা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে।
(সংবাদটি হালনাগাদ করা হবে...)