**গ্রেফতার হাসনাত, পাঠানো হলো কারাগারে**
**বাগেরহাটে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও নাশকতার মামলায় নাটকীয় মোড়**
**নিজস্ব প্রতিবেদক, চ্যানেল নিউজ**
বাগেরহাটের ফকিরহাটে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও নাশকতার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে রংপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
### **ঘটনার পটভূমি**
বাগেরহাটের ফকিরহাটে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে ছাত্র-জনতার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ভয়াবহ বিশৃঙ্খলার ঘটনায় স্থানীয়ভাবে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় রফিকুল ইসলাম মিঠু নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় একটি নাশকতা মামলা দায়ের করেন।
### **মামলার আসামির তালিকা**
মামলায় আসামি করা হয়েছে বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সায়হান নাসের তন্ময়সহ তিন সাবেক এমপিকে। মামলার মোট আসামির সংখ্যা ৩৫ জন। বাকি আসামিরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
### **গ্রেফতার ও আদালতের আদেশ**
সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করার পর রবিবার আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
### **রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া**
এ ঘটনা রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সাবেক পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার এই মামলায় গ্রেফতার নতুন মোড় সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনায় শাসকদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়টি আরও প্রকাশ্যে চলে এসেছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
### **উপসংহার**
সাবেক পুলিশ সুপারসহ উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে এমন মামলা দেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এ মামলার অগ্রগতি ও পরবর্তী পদক্ষেপ দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক পরিবেশে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
**আপডেট পেতে চোখ রাখুন চ্যানেল নিউজে।**