**শিরোনাম: "মার্চ ফর গাজা" মিছিলে গুলির হামলা: নিহত ১৯, সরকার চেপে যেতে চাইছে ঘটনা?**
**তারিখ:** ১২ এপ্রিল ২০২৫
**স্থান:** ঢাকা, বাংলাদেশ
**প্রতিবেদক:** বিশেষ সংবাদদাতা
আজ শনিবার সকাল প্রায় ১২টার দিকে রাজধানী ঢাকায় “মার্চ ফর গাজা” শীর্ষক প্রতিবাদী মিছিলে ঘটে এক নৃশংস গুলির হামলা। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত এবং অন্তত ৪৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
### **ঘটনার সময় ও স্থান**
শাহবাগ থেকে মিছিল শুরু হয়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনের অংশে পৌঁছালে হঠাৎ অজ্ঞাত পরিচয় সশস্ত্র ব্যক্তিদের গুলির মুখে পড়ে মিছিলটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা প্রথমে কিছু গুলি শব্দ শুনতে পান, এরপর চারপাশে ছুটোছুটি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
### **প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ**
একজন অংশগ্রহণকারী বলেন,
> “আমরা প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিচ্ছিলাম, হঠাৎ গুলি শুরু হলো। অনেকে পড়ে গেলেন, রক্ত everywhere... কেউ বুঝে ওঠার আগেই ১০-১৫ সেকেন্ডে সব শেষ।”
### **প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া ও ধামাচাপা?**
ঘটনার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়, “কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত বিশৃঙ্খলার” কারণে সাময়িক গোলযোগ হয়েছিল।
এরপর থেকে অনেক সংবাদ মাধ্যম এই খবর প্রকাশ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবি দ্রুত মুছে ফেলা হয়েছে, এবং কিছু অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধও করা হয়েছে।
### **জনগণের প্রশ্ন**
সরকারি ভাষ্য এবং বাস্তব ঘটনার মধ্যে ফারাক নিয়েই সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই মনে করছেন, এই ঘটনা ইচ্ছাকৃতভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
### **রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া**
বিএনপি, ইসলামী দল এবং স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্বরা সরকারের বিরুদ্ধে “সত্য গোপনের” অভিযোগ এনেছে। তারা একটি স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। #WhoFiredAtGazaMarch এবং #JusticeForMarchers হ্যাশট্যাগে ছড়িয়ে পড়েছে হাজারো পোস্ট, ছবি ও ভিডিও।
--