**ঢাকা, ৪ মার্চ ২০২৫** – বাংলাদেশ বর্তমানে এক সংকটপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। দেশের শাসনব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে ১০ই মার্চকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তীব্রতর হচ্ছে।
#### **ড. ইউনূসের পদত্যাগের দাবি এবং আন্তর্জাতিক চাপ**
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড ১০ই মার্চের মধ্যে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি, ফলে অনেকে মনে করছেন তিনি এখনো সাংবিধানিকভাবে দেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী। এ অবস্থায়, উপদেষ্টা পরিষদকে অবৈধ বলে আখ্যায়িত করেছেন কিছু আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ। যদি ১০ই মার্চের মধ্যে ড. ইউনূস পদত্যাগ না করেন, তাহলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন ভারতীয় সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে।
#### **বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং সামরিক প্রস্তুতি**
সূত্র অনুযায়ী, ভারত ইতোমধ্যে বাংলাদেশের চারপাশে সামরিক সরঞ্জাম মজুদ করছে। কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, অবৈধ সরকার ও সেনাবাহিনীর ওপর ভারতীয় বাহিনী অভিযান চালাতে পারে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ জনগণ।
দেশের পরিস্থিতি নিয়ে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। হত্যাকাণ্ড, সংঘর্ষ এবং সহিংসতার খবর প্রতিদিন সামনে আসছে, যা নাগরিকদের দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। অনেকেই মনে করছেন, সরকার জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
#### **রাজনৈতিক সমাধান নাকি সংঘর্ষের দিকে অগ্রসর?**
বিশ্লেষকরা বলছেন, ড. ইউনূস যদি সত্যিই দেশপ্রেমিক হন, তবে তিনি পদত্যাগ করে দেশকে সম্ভাব্য সংঘাতের হাত থেকে বাঁচাতে পারেন। অন্যথায়, ইউক্রেনের মতো বাংলাদেশও এক ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হতে পারে।
একদিকে, ১৩ই মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত সফরে আসছেন। এই সফরে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত যদি বাংলাদেশে সামরিক পদক্ষেপ নেয়, তবে ট্রাম্পের পূর্ণ সমর্থন থাকবে।
#### **উপসংহার**
বাংলাদেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। রাজনৈতিক সমাধান না হলে দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকারময় হতে পারে। জনগণ কি ড. ইউনূসের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নামবে, নাকি আন্তর্জাতিক শক্তির হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারণ করবে? ১৮-১৯ মার্চের মধ্যে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে, তা নিয়ে এখন সবার নজর টানটান।