---
### বিহারি শিশুদের জন্য উর্দু একাডেমি প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
**ইনডিপেনডেন্ট ডেস্ক**
**প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম**
জেনেভা ক্যাম্পে বেড়ে ওঠা শত শত বিহারি শিশুর জন্য একটি মানসম্পন্ন উর্দু একাডেমি বা স্কুল গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর ভেরিফায়েড আইডি থেকে এক পোস্টে তিনি বলেন, *"জেনেভা ক্যাম্পের শিশুদের কাব্যিক ও চমৎকার উর্দু শেখার সুযোগ দিতে একটি উন্নতমানের একাডেমি বা স্কুল প্রয়োজন। ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসার প্রতীক, যা বাংলাদেশের বিভিন্ন ভাষা ও উপভাষার মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ুক।"*
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই একাডেমিতে উর্দুর পাশাপাশি পুরোনো ঢাকার স্বতন্ত্র উপভাষাও শেখানো যেতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পুরোনো ঢাকায় উর্দু পুনরুজ্জীবিত করার কিছু উদ্যোগ দেখা গেলেও, প্রাথমিক স্তরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকলে ভাষাটি ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে চলে যাবে।
শফিকুল আলম ঐতিহাসিক প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, উনিশ শতকে বাংলা অঞ্চলের মাদ্রাসাগুলোতে উর্দু শিক্ষা দেওয়া হতো। উপমহাদেশের বিশিষ্ট ইসলামি বক্তা হযরত কারামত আলী জৌনপুরী বাংলার মুসলিম সমাজে ইসলাম প্রচারের সময় প্রায়ই উর্দুতে বক্তব্য দিতেন। ব্রিটিশ শাসনামলে সেনানিবাসের বাঙালি সৈন্যরা ভারতবর্ষের অন্যান্য অংশের সৈন্যদের সঙ্গে উর্দুতেই যোগাযোগ করতেন।
তিনি আরও বলেন, ষাটের দশকে পূর্ব বাংলায় সিনেমার জনপ্রিয়তা বাড়লে অনেক শীর্ষস্থানীয় নির্মাতা উর্দুতে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতেন। কিংবদন্তি কবি সৈয়দ শামসুল হক, পরিচালক ও সাহিত্যিক জহির রায়হানসহ অনেক বাঙালি নির্মাতা উর্দু ভাষায় কাজ করেছেন। ১৯৬০-এর দশকের ঢাকায় উর্দু মাধ্যমের স্কুলও ছিল, যেখানে বিহারি ও উত্তর ভারতীয় অভিবাসী পরিবারের শিশুরা শিক্ষা গ্রহণ করত।
প্রেস সচিবের মতে, একটি মানসম্পন্ন উর্দু একাডেমি প্রতিষ্ঠা করলে ভাষা ও সংস্কৃতির এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।