**আগামী মাসে ভারত সফরে আসছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, দিল্লিতে সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনার সঙ্গে**

 ### **আগামী মাসে ভারত সফরে আসছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, দিল্লিতে সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনার সঙ্গে**  

**নিউজ ডেস্ক | প্রকাশ: (তারিখ), ২০২৫**  

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট **ডোনাল্ড ট্রাম্প** আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে **ভারত সফরে** আসছেন। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই সফরের সময় তিনি **বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেন**। উল্লেখ্য, গত জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা **দেশত্যাগে বাধ্য হন** এবং বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।  

### **কেন ট্রাম্পের ভারত সফর?**  

হোয়াইট হাউসের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, **মার্কিন-ভারত সম্পর্ক আরও জোরদার করা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও বাণিজ্য সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই সফর অনুষ্ঠিত হবে**। সফরের সময় তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী **নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন** এবং একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।  

### **দিল্লিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা**  

বিশ্ব রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, **বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে আলোচনা করতেই ট্রাম্প শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন**।  

শেখ হাসিনা গত জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত অভ্যুত্থানের পর দেশত্যাগ করেন এবং ভারত সরকারের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তিনি বর্তমানে দিল্লিতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বৈঠকে **বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হতে পারে**।  

### **বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সম্ভাব্য আলোচনা**  

বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পর শেখ হাসিনা **এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা হারান**। এরপর তিনি ভারতে আশ্রয় নেন। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প ও শেখ হাসিনার মধ্যে বৈঠকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো আলোচনা হতে পারে—  

- **বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি**  

- **আগামী দিনের রাজনৈতিক রোডম্যাপ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা**  

- **বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা**  

- **বাংলাদেশে মার্কিন নীতির সম্ভাব্য পরিবর্তন**  

### **কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি**  

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হয়েছে। শেখ হাসিনার সঙ্গে ট্রাম্পের এই বৈঠক **বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে**। যদিও দিল্লি ও ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি, তবে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এই বৈঠককে **আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ** বলে মনে করছেন।  

এই সফর এবং সম্ভাব্য বৈঠক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে অপেক্ষা করতে হবে **ভারত, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য**।