### **শহীদ মিনার ভাঙার ভিডিও ভাইরাল: প্রকৃত ঘটনা কী?**
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি শহীদ মিনার ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হলেও অনুসন্ধানে জানা গেছে, আসল ঘটনা ভিন্ন।
### **কী ঘটেছিল?**
ফেসবুক ভিত্তিক ফ্যাক্ট-চেকিং প্ল্যাটফর্ম **রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ** জানায়, সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ পুরোনো শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলেছে, কারণ সেখানে ইতোমধ্যে একটি **নতুন, বৃহৎ ও আধুনিক শহীদ মিনার** নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রও নিশ্চিত করেছে যে, **নতুন শহীদ মিনারটি ২০২৩ সালে নির্মিত হয় এবং ২০২৪ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি যথাযোগ্য মর্যাদায় সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়**। তাই পুরোনো শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
### **গুজব ও বিভ্রান্তি**
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি **টিকারী বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ভাঙার দৃশ্য**, যা ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত।
- এই বিদ্যালয়ের **পুরোনো শহীদ মিনারটি ২০২৪ সালে সরিয়ে ফেলা হয়**।
- **২০২৩ সাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করত**।
- **২০২৪ সাল থেকে নতুন শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন চলছে**।
তবে, ভিডিওটি বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যাতে মনে হচ্ছে এটি কোনো নাশকতা বা অশ্রদ্ধার কাজ।
### **সতর্কতা ও পরামর্শ**
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে **যেকোনো তথ্য শেয়ার করার আগে তার সত্যতা যাচাই করা উচিত**। বিভ্রান্তিকর তথ্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং তা অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনার সৃষ্টি করতে পারে।
### **সরকারি প্রতিক্রিয়া**
ভাইরাল হওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে *প্রেস সচিব আনুষ্ঠানিক বিবৃতি** দিয়ে জানিয়েছে, এটি **গুজব ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য**। প্রকৃতপক্ষে, শহীদ মিনার ভাঙার উদ্দেশ্য ছিল **নতুন শহীদ মিনারের জন্য স্থান তৈরি করা**।
### **উপসংহার**
পুরোনো শহীদ মিনার ভেঙে ফেলার ভিডিওকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে গুজব ছড়ানো হয়েছে। **বাস্তবে, এটি একটি পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ** এবং এর মাধ্যমে শহীদদের প্রতি অসম্মান প্রকাশ করা হয়নি।
### **সতর্ক থাকুন, গুজবে কান দেবেন না!**