### **বদলে গেল বঙ্গবন্ধু সেতু ও বঙ্গবন্ধু টানেলের নাম**
**অনলাইন নিউজ**
**ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫**
বঙ্গবন্ধু সেতু ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নাম পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) **সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের** এক প্রজ্ঞাপনে নতুন নামকরণের ঘোষণা দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, **বঙ্গবন্ধু সেতুর নতুন নাম ‘যমুনা সেতু’** এবং **বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নতুন নাম ‘কর্ণফুলী টানেল’** রাখা হয়েছে।
### **যমুনা সেতুর ইতিহাস**
যমুনা নদীর ওপর অবস্থিত **যমুনা বহুমুখী সেতু** বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ সড়ক ও রেল সংযোগ স্থাপনকারী অবকাঠামো। এটি **১৯৯৮ সালের ২৩ জুন** চালু হয় এবং সে সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণ করা হয়েছিল। সেতুটি দেশের **পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে** দুই অংশকে একত্রিত করেছে।
### **কর্ণফুলী টানেলের পথচলা**
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে নির্মিত **বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন টানেল** ২০২৩ সালের **২৮ অক্টোবর** উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী **শেখ হাসিনা**। তখনই এর নাম **‘বঙ্গবন্ধু টানেল’** রাখা হয়। এটি **পতেঙ্গা থেকে শুরু হয়ে আনোয়ারা পর্যন্ত বিস্তৃত**।
### **নাম পরিবর্তনের কারণ কী?**
গত ৫ আগস্ট **ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে** আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার **বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের নামে থাকা বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তন করতে শুরু করে**।
সরকার পরিবর্তনের মাত্র দুই দিন পর, **৭ আগস্ট**, কর্ণফুলী টানেল থেকে বঙ্গবন্ধুর নামফলক সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে **নতুন নাম ঘোষণা করা হলো**।
এই নাম পরিবর্তন নিয়ে **দেশের রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া** দেখা যাচ্ছে। কেউ একে **ঐতিহাসিক স্থাপনার রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার উদ্যোগ** বলছেন, আবার কেউ মনে করছেন এটি **রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ**।
নতুন নামকরণের পর দেশের জনগণ কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।