মানবিক করিডোর’ প্রস্তাবে দ্বিমত সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের


---


**‘মানবিক করিডোর’ প্রস্তাবে দ্বিমত সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের**  

**ডিএম নিউজ ডেস্ক | ৩ মে ২০২৫**


আঞ্চলিক সংকট মোকাবেলায় প্রস্তাবিত ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই ইস্যুতে প্রকাশ্যেই দ্বিমত পোষণ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। তাঁর মন্তব্যে জাতীয় নিরাপত্তা ও বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।


**সেনাপ্রধানের বক্তব্য**  

এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেনারেল ওয়াকার বলেন, “বাংলাদেশের ভূখণ্ডে কোনো ধরনের মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠা আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষ করবে। আমরা মানবিক সহানুভূতি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পক্ষে, কিন্তু তা হতে হবে দেশের আইন ও নিরাপত্তার পরিপন্থী নয় এমন প্রক্রিয়ায়।”


তিনি আরো বলেন, “যে প্রস্তাবনাটি উঠেছে, তাতে বিদেশি সংস্থা ও শক্তির সম্পৃক্ততা রয়েছে — যা ভবিষ্যতে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক ভারসাম্যে অস্থিরতা আনতে পারে। এ ধরনের করিডোর প্রতিষ্ঠা হলে তা কৌশলগতভাবে বাংলাদেশের জন্য একটি দুর্বলতা তৈরি করবে।”


**প্রস্তাবটি নিয়ে বিতর্কের শুরু**  

সম্প্রতি, কিছু মানবাধিকার সংগঠন ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে একটি ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস। তার দাবি ছিল, এই করিডোরের মাধ্যমে সীমান্তবর্তী শরণার্থী ও সংকটপীড়িত জনগোষ্ঠীকে খাদ্য, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা সহায়তা দেওয়া সম্ভব হবে।


তবে এই প্রস্তাব প্রকাশের পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক এবং সামরিক মহলে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সরকার এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক অবস্থান নেয়নি।


**বিশেষজ্ঞদের মতামত**  

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সেনাবাহিনীর অবস্থান স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে তারা কোনো আপোষে যেতে রাজি নয়। তবে প্রস্তাবকারীরা এটিকে শুধুই মানবিক প্রেক্ষাপটে দেখার আহ্বান জানাচ্ছেন।


**পরিস্থিতির অবনতি হলে কী ঘটবে?**  

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে বিশেষ একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনে জাতীীয়য় নিরাপতা কাউন্সিল বৈঠকে এই বিষয়টি তোলা হবে বলে জানা গেছে।


---





**উপসংহার:**  

‘মানবিক করিডোর’ ইস্যুতে সেনাবাহিনীর এই দ্ব্যর্থহীন অবস্থান দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এটি শুধু মানবিক নয়, একটি কৌশলগত প্রশ্নও হয়ে দাঁড়িয়েছে— যেখানে জাতীয় নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক একে অপরকে ছেদ করছে।


---



Post a Comment

Previous Post Next Post