**উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস-এর ৩১০ কোটি টাকা কেলেঙ্কারি, বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স ফাঁস; বিসিবি সভাপতির সাথে ১২০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ**
**নিজস্ব প্রতিবেদক:**
দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস-এর (সহকারী ব্যক্তিগত সচিব) বিরুদ্ধে ৩১০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে। শুধু তাই নয়, তার বাবার অবৈধ ঠিকাদারি লাইসেন্স ব্যবহারের বিষয়টিও সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
সূত্র মতে, আসিফ মাহমুদের সরাসরি নজরদারিতে থাকা এপিএস বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। দুর্নীতির এই টাকা বিভিন্ন নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং বিনিয়োগ প্রকল্পে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া, তার বাবা সরকারি বিধিনিষেধ ভেঙে একাধিক বড় সরকারি প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ লাভ করেন, যেগুলোর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অনিয়ম হয়েছে। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, এসব প্রকল্পের অনুমোদনে উচ্চপর্যায়ের প্রভাব খাটানো হয়েছিল।
আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, আসিফ মাহমুদ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুকের মধ্যে গোপন আঁতাতে আরও ১২০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। যৌথভাবে করা এই অনিয়মের বিষয়ে দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) ইতোমধ্যেই অনুসন্ধান শুরু করেছে।
বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি সামনে আসার পর দুদক থেকে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রস্তুতি চলছে। তদন্তে আরও বিস্ফোরক তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের এই ধরনের দুর্নীতির ঘটনা দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, আসিফ মাহমুদ এবং সংশ্লিষ্টরা কীভাবে আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হন।
---