### বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তন: সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ ও ড. ইউনূসের অপসারণ
**ঢাকা** – বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নাটকীয় মোড় নিয়েছে। এক সেনা কর্মকর্তার বক্তব্যের পর দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এক ভিডিওতে ওই কর্মকর্তা জানান, “বাংলাদেশ এখন সেনাবাহিনীর হাতে।” এই বক্তব্যের ফলে স্পষ্ট হয় যে, দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে।
#### **ক্ষমতার পালাবদল**
গত কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব পালন করছিলেন, তবে বিরোধী দলসহ বিভিন্ন মহল তার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। সরকারের নীতিগুলো নিয়ে বিতর্ক বাড়তে থাকলে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি এবং অর্থনৈতিক সংকট সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপকে অনিবার্য করে তুলেছিল। সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য ক্ষমতা গ্রহণ করেছে।
#### **সেনাবাহিনীর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা**
এক সেনা কর্মকর্তা জানান, “দেশের সার্বিক নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সেনাবাহিনী দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। নতুন সরকার গঠনের আগে আমরা জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করব।”
অন্যদিকে, ড. ইউনূসের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে এখনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে যে, তিনি এই ক্ষমতা পরিবর্তন মেনে নিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন।
#### **আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া**
এই ঘটনার পরপরই আন্তর্জাতিক মহল বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছে।
#### **পরবর্তী করণীয়**
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সেনাবাহিনী এখন একটি নতুন সরকার গঠনের রূপরেখা প্রস্তুত করবে এবং ভবিষ্যতে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। দেশের সাধারণ জনগণও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, আগামী দিনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে।
---