যমুনা ঘেরাও: শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের একমাত্র দাবি—ড. ইউনূসের পদত্যাগ**

 ### **যমুনা ঘেরাও: শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের একমাত্র দাবি—ড. ইউনূসের পদত্যাগ**  


**নিজস্ব প্রতিবেদক**  

১২ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: কয়েক মুহূর্ত আগে  


বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান **ড. মুহাম্মদ ইউনূসের** পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল রাজধানী। **যমুনা** ঘিরে অবস্থান নিয়েছেন হাজারো শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ আজ সরকারবিরোধী আন্দোলনের রূপ নিয়েছে।  


### **ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন থেকে সরকারবিরোধী রূপান্তর**  

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছিল। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা একের পর এক বিক্ষোভ, মানববন্ধন এবং সড়ক অবরোধ করছিলেন। কিন্তু সরকারের নীরবতা এবং প্রশাসনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ ধীরে ধীরে তীব্র হয়।  


একপর্যায়ে শিক্ষকরাও নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলনে যোগ দেন। **বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ** সহ বিভিন্ন শিক্ষাখাতের সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা। দুই পক্ষের মিলিত এই বিক্ষোভ এখন দেশের সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।  


### **শিক্ষার্থীদের বক্তব্য**  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী **ফারিয়া রহমান** বলেন, *"আমরা ধর্ষণের বিরুদ্ধে ন্যায়ের দাবি তুলেছিলাম। কিন্তু এই সরকার শুধু নিরবতা পালন করেছে। এখন আমরা শুধু ধর্ষণবিরোধী আইন নয়, পুরো সরকারের পদত্যাগ চাই।"*  


একই মত প্রকাশ করেছেন একাধিক শিক্ষার্থী। তারা বলছেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে এখন প্রয়োজন **ড. ইউনূসের পদত্যাগ**।  


### **শিক্ষকদের বক্তব্য**  

বিক্ষোভে যোগ দেওয়া এক শিক্ষক নেতা **মো. আলতাফ হোসেন** বলেন, *"আমাদের দাবি ছিল শিক্ষাখাতে উন্নয়ন। কিন্তু আমরা দেখলাম, এই সরকার শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতিও উদাসীন। তাই আমরা তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছি। আমাদের একটাই কথা—এই সরকার থাকতে পারে না!"*  


### **সরকারের অবস্থান**  

সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি। তবে প্রশাসন যমুনা এলাকায় **কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা** নিয়েছে। পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যদের পাশাপাশি জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।  


এদিকে, আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, **ড. ইউনূস পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন**। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশালে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।  


দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

Post a Comment

Previous Post Next Post