### **কক্সবাজারে গুলি করে হত্যা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কের বাবা নিহত**
**কক্সবাজার, ১৭ মার্চ ২০২৫** – কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় **বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আনিসুল ইসলামের বাবা** রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, **আওয়ামী লীগ সমর্থকদের গুলিতে তিনি প্রাণ হারান।**
### **ঘটনার বিবরণ**
সোমবার বিকেলে ঈদগাঁও বাজার এলাকায় ** আনিসুল ইসলামের বাবা হাবিবুল হুদা (৬২) তার দোকানে বসে ছিলেন**। এসময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে এসে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, **গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।**
### **কেন এই হামলা?**
স্থানীয়রা বলছেন, *আনিসুল ইসলামের নেতৃত্বে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর বিরাগভাজন হয়েছিল।** তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক হুমকির মুখে ছিল।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, **"হামলাকারীরা সরাসরি তার দোকানে গিয়ে গুলি চালায়। এরপর দ্রুত পালিয়ে যায়।"**
### **পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া**
ঈদগাঁও থানার ওসি জানান, **"আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এটি রাজনৈতিক সহিংসতার অংশ। জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"**
### **পরিবারের অভিযোগ**
আনিসুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেন, **“আমার বাবা নিরপরাধ ছিলেন। শুধুমাত্র আমার আন্দোলনের কারণে আমার পরিবারকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।"**
### **রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া**
বিরোধী রাজনৈতিক দল ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে। **বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমর্থকরা আগামীকাল দেশব্যাপী বিক্ষোভ ডেকেছে।**
### **পরবর্তী পদক্ষেপ**
নিহতের পরিবার মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে, স্থানীয়দের আশঙ্কা, **প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের কারণে বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে।**
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও দমন-পীড়নের মাঝে এই হত্যাকাণ্ড আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।