### **শিরোনাম: সেনাবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই শীর্ষ নেতা!**
**ঢাকা, ১৫ মার্চ ২০২৫:** রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সেনাবাহিনী আজ রাতে গোপন অভিযান চালিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকে গ্রেফতার করেছে। সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার একটি গোপন আস্তানা থেকে তাদের আটক করা হয়।
### **গ্রেফতারের পটভূমি**
সাম্প্রতিক সময়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে সরব ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করা হচ্ছিল। সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, "আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন এবং তারা বিদেশি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন।"
### **অভিযান ও গ্রেফতার**
সেনাবাহিনী আজ রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ নথিপত্র ও ডিজিটাল ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে, যা তাদের ষড়যন্ত্রের প্রমাণ বহন করে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গ্রেফতারের সময় হাসনাত ও সারজিস আত্মগোপনে থাকার চেষ্টা করছিলেন, তবে সেনাবাহিনী সফলভাবে তাদের আটক করে।
### **বিচার ও প্রতিক্রিয়া**
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হবে এবং শিগগিরই বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হবে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ ঘটনার উপর নজর রাখছে।
ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং আন্দোলন দমনের একটি কৌশল। সংগঠনটির অন্যান্য নেতারা আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
### **বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ**
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই গ্রেফতারের ফলে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বেড়ে যেতে পারে। তবে সরকার ও সেনাবাহিনী বলছে, তারা দেশকে স্থিতিশীল রাখতে বদ্ধপরিকর।
বাংলাদেশের জনগণ এখন অপেক্ষায়, এই ঘটনার পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়।