শেখ হাসিনার নাটকীয় প্রত্যাবর্তন: তেজগাঁও বিমানবন্দরে চরম উত্তেজনা


 ### **শেখ হাসিনার নাটকীয় প্রত্যাবর্তন: তেজগাঁও বিমানবন্দরে চরম উত্তেজনা**  


**ঢাকা, ১৪ মার্চ ২০২৫** – আজ ভোরে বাংলাদেশে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সৃষ্টি হয়েছে, যখন বহুল আলোচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আকস্মিকভাবে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। তেজগাঁও বিমানবন্দরে তার অবতরণকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র জানাচ্ছে, জাতিসংঘ এখনো তার আনুষ্ঠানিক পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করায় তাকে পুনরায় ক্ষমতায় বহাল করার বিষয়টি বিবেচনা করছে।  


#### **আকস্মিক ফেরা, চাপে সরকার**  

দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটানোর পর শেখ হাসিনা কীভাবে দেশে ফিরলেন, তা এখনো রহস্যময়। বিভিন্ন সূত্র বলছে, একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিনি দিল্লি থেকে ঢাকায় আসেন। বিমানবন্দরের একটি অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, “ভিআইপি টার্মিনালে শেখ হাসিনাকে নামতে দেখা গেছে, সঙ্গে কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক কূটনীতিকও ছিলেন।”  


সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি, তবে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মধ্যে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, জাতিসংঘের সরাসরি হস্তক্ষেপে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নতুন মোড় নিতে পারে।  


#### **জাতিসংঘের ভূমিকা ও সম্ভাব্য ক্ষমতা পুনঃস্থাপন**  

জাতিসংঘের এক মুখপাত্র এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছেন, “শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়নি। বাংলাদেশের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছি।” এই বিবৃতির পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে বলা হতে পারে।  


#### **রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ভবিষ্যৎ**  

দেশের বিভিন্ন স্থানে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ এবং সমর্থকদের আনন্দ মিছিল চলছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, বিশেষ করে তেজগাঁও বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকা কঠোর নিরাপত্তার আওতায় রাখা হয়েছে।  


বিরোধী দলগুলোর নেতারা একে ‘গণতন্ত্রের ওপর আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন। তবে শেখ হাসিনা বা তার দল এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি।  


বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার এই নাটকীয় প্রত্যাবর্তন যে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, তা এখন নিশ্চিত। তবে তিনি কি সত্যিই আবার ক্ষমতায় বসতে পারবেন, নাকি নতুন কোনো সমঝোতার পথে হাঁটতে হবে—সে প্রশ্নের উত্তর এখন সময়ের হাতে।  


---  

Post a Comment

Previous Post Next Post