**সুদ খাওয়ার ফলে ইবাদত কবুল হয় না: ধর্ম উপদেষ্টা**
**ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫** – ইসলাম ধর্মে সুদকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যারা সুদ গ্রহণ বা প্রদান করেন, তাদের ইবাদত কবুল হয় না বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা।
### **সুদ সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি**
সম্প্রতি একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, **“সুদ ইসলামে হারাম। যারা সুদের লেনদেন করে, তারা আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। সুদের অর্থ দিয়ে করা কোনো ইবাদতই কবুল হয় না।”**
তিনি আরও বলেন, কুরআন ও হাদিসে সুদকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
> **"যারা সুদ খায়, তারা সেই ব্যক্তির মতো, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল করে দিয়েছে।"** (সূরা আল-বাকারা: ২৭৫)
### **সুদগ্রহীতার ইবাদত কবুল হয় না**
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন,
> **“যদি কেউ সুদের টাকায় হজ করে, দান-খয়রাত করে, নামাজ পড়ে—তবুও তা আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, হারাম উপার্জন দিয়ে ইবাদত করলে তা আল্লাহ কবুল করেন না।”**
### **সমাজে সুদের ভয়াবহতা**
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সুদ মানুষের জীবনকে অভিশপ্ত করে তোলে এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট করে। ইসলামে সুদখোরদের কঠোর পরিণতির কথা বলা হয়েছে।
**হাদিসে এসেছে:**
> **“রাসুলুল্লাহ (সা.) সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং সাক্ষীদের উপর লানত (অভিশাপ) দিয়েছেন।”** (মুসলিম শরিফ)
### **সুদমুক্ত অর্থনীতি গঠনের আহ্বান**
ধর্ম উপদেষ্টা সবাইকে **সুদমুক্ত জীবনযাপনের পরামর্শ** দেন এবং বলেন, **“যারা সুদমুক্ত ব্যবসা পরিচালনা করেন, তারা বরকত লাভ করেন। সুদের বিকল্প হিসেবে ইসলামি ব্যাংকিং ও শরিয়াহভিত্তিক লেনদেনকে উৎসাহিত করা উচিত।”**
### **উপসংহার**
সুদকে হারাম ঘোষণা করার পেছনে ইসলামিক দর্শন হলো **ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের রক্ষা করা।** ধর্ম উপদেষ্টার মতে, **সুদ থেকে বেঁচে থাকলেই কেবল ইবাদত কবুলের আশা করা যায়।** তাই সমাজের সকলকে সুদমুক্ত অর্থনীতির দিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।