**বাংলাদেশে জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশ মোদির, সেনাপ্রধানের সামনে কঠিন সিদ্ধান্ত**
**ঢাকা, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫** – বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরাসরি বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশ দিয়েছেন বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। এই নির্দেশের ফলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নতুন মোড় নিতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
### **পটভূমি: কেন এই নির্দেশ?**
সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস এবং তার উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে, যা দেশের ভেতরে ও বাইরে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের অবস্থান স্পষ্ট হওয়ার পরই মোদি হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেন বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র মতে, মোদি বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন: **"স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনীকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে, প্রয়োজনে জরুরি অবস্থা জারি করুন।"**
### **সেনাবাহিনীর অবস্থান**
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই পরিস্থিতিতে কী পদক্ষেপ নেবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে, সামরিক সূত্রের দাবি, সেনাপ্রধান এই নির্দেশ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন এবং দেশের নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রভাব বিবেচনা করছেন।
### **রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া**
বিরোধী দল এই খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, **"বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। ভারতের প্রধানমন্ত্রী কেন আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন?"**
অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দলের একাংশ মনে করছে, জরুরি অবস্থা জারি করা হলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব হবে এবং আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যাবে।
### **আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া**
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই বিষয়ে নজর রাখছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, **"যদি বাংলাদেশে সেনাবাহিনী সরাসরি হস্তক্ষেপ করে, তবে তা গণতন্ত্রের জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে।"**
### **বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী?**
আগামী ৩ দিনের মধ্যে সেনাবাহিনী জরুরি অবস্থা জারি করবে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে, এই নির্দেশ বাস্তবায়ন হলে দেশের রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্মুখীন হতে পারে।
দেশবাসী এখন তাকিয়ে আছে, সেনাপ্রধান কী সিদ্ধান্ত নেন এবং এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া হয়।