**শেখ হাসিনার জন্য এলিট ফোর্স পাঠিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প, বাংলাদেশে নতুন মোড়**
**ঢাকা, ২০২৫** – বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ এলিট ফোর্স পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন। গোপন সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণ দাবিকে প্রতিহত করতে ও সন্ত্রাস দমনের মাধ্যমে সুষ্ঠু একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
### **কেন ট্রাম্পের এই উদ্যোগ?**
সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশ দেন বলে জানা যায়। এই পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে তাদের প্রভাব ধরে রাখতে চায় এবং শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্রিয় ভূমিকা নিতে চায়।
ওয়াশিংটনে এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, **"শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতার পক্ষে কাজ করছেন। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার যে কোনো চেষ্টার বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থান নেব।"**
### **এলিট ফোর্সের ভূমিকা**
বিশেষ সূত্র জানায়, এই এলিট ফোর্স অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ও সামরিক প্রশিক্ষণে সজ্জিত। এটি মূলত সন্ত্রাস দমন, রাষ্ট্রনেতাদের নিরাপত্তা এবং বিশেষ অভিযানের জন্য পরিচিত। তারা শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি, দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি প্রতিহত করার দায়িত্ব পাবে।
### **সেনাবাহিনী ও সরকারের প্রতিক্রিয়া**
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা জানান, **"বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। বিদেশি বাহিনী এখানে কীভাবে কাজ করবে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত না হলে কিছু বলা যাচ্ছে না।"**
অন্যদিকে, বিরোধী দল বলছে, **"এটি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক শক্তির দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করবে, যা দেশের জন্য শুভকর নয়।"**
### **আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া**
বিশ্ব কূটনৈতিক মহলে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। চীন ও রাশিয়া ইতোমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
### **বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী?**
ভারতের নির্দেশে জরুরি অবস্থা জারি হবে নাকি যুক্তরাষ্ট্রের এলিট ফোর্স শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে—এই প্রশ্নের উত্তর এখনো স্পষ্ট নয়। তবে, বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, যেখানে যে কোনো সিদ্ধান্ত দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
দেশবাসী এখন অপেক্ষায় রয়েছে, পরবর্তী দিনগুলো দেশের জন্য কী নিয়ে আসে।