ব্রেকিং নিউজ: জুলাই সনদ বাতিল ঘোষণা করলেন রাষ্ট্রপতি মোঃ শাহাবুদ্দিন আহমেদ চুপ্পু


📰 ব্রেকিং নিউজ: জুলাই সনদ বাতিল ঘোষণা করলেন রাষ্ট্রপতি মোঃ শাহাবুদ্দিন আহমেদ চুপ্পু

ঢাকা | ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | কাল্পনিক প্রতিবেদন

আজ বঙ্গভবনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ শাহাবুদ্দিন আহমেদ চুপ্পু ঘোষণা দিয়েছেন যে বহুল আলোচিত “জুলাই জাতীয় সনদ” আর কার্যকর নয়। তিনি এটিকে “রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার স্বার্থে অবৈধ ও বাতিল” ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন —

“জুলাই সনদ দেশের সাংবিধানিক কাঠামোকে অস্থিতিশীল করে তুলছিল। সংবিধান ও সার্বভৌম সংসদের বাইরে কোনো দলিল বা চুক্তি কার্যকর হতে পারে না। জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো সনদ রাষ্ট্র পরিচালনার নীতিনির্ধারণ করতে পারে না — সেই কারণেই আজ আমি একে বাতিল ঘোষণা করছি।”


🔹 পটভূমি

২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণআন্দোলনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক প্রণীত হয় “জুলাই জাতীয় সনদ”। এতে সংবিধান সংস্কার, নির্বাচন ব্যবস্থা পুনর্গঠন, প্রশাসন ও বিচারব্যবস্থা পুনর্বিন্যাসসহ বড় পরিবর্তনের প্রস্তাব ছিল।

তবে শুরু থেকেই এ নিয়ে রাজনৈতিক বিভাজন তৈরি হয়। কিছু দল সনদকে “জনগণের রক্তের দলিল” বলে স্বীকৃতি দেয়, অন্যদিকে কিছু দল একে “অবৈধ ও সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন” হিসেবে সমালোচনা করে আসছিল।


🔹 সরকারের প্রতিক্রিয়া

রাষ্ট্রপতির ঘোষণার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বঙ্গভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন —

“রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত আমরা শ্রদ্ধা করি। তবে জনগণের দাবি ও সংস্কারের প্রশ্নে আমরা নতুন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় যেতে প্রস্তুত।”

অন্যদিকে মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির এই ঘোষণার মাধ্যমে “রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার অবসান ঘটবে”।


🔹 বিরোধী দল ও নাগরিক প্রতিক্রিয়া

বিরোধী রাজনৈতিক জোট “গণঐক্য ফোরাম” রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তকে “গণআকাঙ্ক্ষার ওপর আঘাত” বলে মন্তব্য করেছে। সংগঠনের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন —

“রাষ্ট্রপতি আজ জনগণের রায়কে অস্বীকার করলেন। জুলাই সনদ বাতিল মানে সেই আন্দোলনের আত্মাকে হত্যা করা।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর ইসলাম বলেন,

“এই সিদ্ধান্ত দেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ তৈরি করবে। সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়া আবার শুরু করতে হতে পারে।”


🔹 নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক পরিস্থিতি

ঘোষণার পর রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিজিবি ও র‍্যাব মোতায়েন রয়েছে সচিবালয়, প্রেস ক্লাব ও বঙ্গভবন এলাকাজুড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে “#জুলাইসনদ” ট্রেন্ড করছে, যেখানে সমর্থন ও প্রতিবাদ—দুই ধরনের পোস্টই দেখা যাচ্ছে।


🔹 বিশ্লেষণ

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাষ্ট্রপতির এই পদক্ষেপ অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা পুনর্নির্ধারণ করবে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি দ্রুত ঘোষণার পথ খুলে দিতে পারে। তবে এতে গণআন্দোলন-নির্ভর রাজনীতির ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়েছে।


📌 উপসংহার:
রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের এই ঘোষণার মাধ্যমে জুলাই সনদের অধ্যায় আপাতত বন্ধ হলো। এখন জাতির দৃষ্টি আগামী নির্বাচনী রোডম্যাপ ও নতুন সংবিধান সংস্কার আলোচনার দিকে।


Post a Comment

Previous Post Next Post