বিশেষ প্রতিবেদন
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আগুন: ইরানের পাল্টা হামলায় নিহত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু
🗓️ প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২৫ | ✍️ প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক ডেস্ক
📍তেলআবিব, ইসরায়েল:
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার আগুন চরমে পৌঁছেছে। গতকাল ইসরায়েল ইরানের উপর এক বৃহৎ আকারের বিমান ও ড্রোন হামলা চালালে, আজ ভোরে ইরান পাল্টা প্রতিশোধমূলক আক্রমণ চালিয়ে দেয় ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও রাজনৈতিক লক্ষ্যবস্তুতে। এই পাল্টা আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু — এমন খবর এখন দুনিয়াজুড়ে বিস্ময় ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
⚔️ হামলার বিবরণ:
ইরান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "অপারেশন প্রতিশোধের শপথ" নামে একটি সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযানে তারা ১২৮টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ৭৫টি ড্রোন এবং ৪০টির বেশি ক্রুজ মিসাইল ছোড়ে। লক্ষ্যবস্তু ছিল:
তেলআবিবের সামরিক সদর দফতর
দিমোনা পারমাণবিক কেন্দ্র
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়
স্থানীয় সময় সকাল ৫টা ৪৩ মিনিটে একটি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হানে তেলআবিবের পশ্চিমাংশে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে। জানা যায়, তখন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একটি গোপনীয় নিরাপত্তা বৈঠকে অংশ নিচ্ছিলেন।
⚰️ নেতানিয়াহুর মৃত্যু:
ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে:
"প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আজ ভোরে একটি শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতে গুরুতর আহত হন এবং হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।"
নেতানিয়াহুর মৃত্যুতে ইসরায়েলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী গালিত ডিস্টেল আতবারিয়ান সাময়িকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
🌍 বিশ্ব প্রতিক্রিয়া:
নেতানিয়াহুর মৃত্যুর খবরে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র “চরম উদ্বেগ” প্রকাশ করেছে এবং “পূর্ণ সমর্থন” ঘোষণা করেছে ইসরায়েলের প্রতি।
রাশিয়া ও চীন যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা প্রস্তাব দিয়েছে।
জাতিসংঘ জরুরি বৈঠক ডেকেছে যুদ্ধ পরিস্থিতি প্রশমনে।
🔥 আগাম সংকেত?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি বড় যুদ্ধের সূচনা হতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডঃ ইউসুফ হাদ্দাদ বলেন,
"নেতানিয়াহুর মতো এক উচ্চপ্রোফাইল রাজনৈতিক নেতার মৃত্যু শুধু ইসরায়েল নয়, সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তা কাঠামোকে নাড়িয়ে দেবে। এটি চতুর্থ মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের সূচনা হতে পারে।"
📌 উপসংহার:
এই মুহূর্তে ইসরায়েল পূর্ণ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রবেশ করেছে। আকাশসীমা বন্ধ, রিজার্ভ সেনাবাহিনী সক্রিয়, এবং বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। তবে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে, তা সময়ই বলে দেবে।