**শিরোনাম: সিলেটে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতাদের ওপর ছাত্রলীগের ধারাবাহিক হামলা, আহত ৪**
**তারিখ:** ১২ এপ্রিল, ২০২৫
সিলেট নগরের মাছিমপুর এলাকায় গাড়ি পার্কিং নিয়ে শুরু হওয়া তুচ্ছ বিরোধ শেষ পর্যন্ত রূপ নেয় সহিংসতায়। এতে দুই দফায় সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে মারাত্মকভাবে লাঞ্ছিত হন।
প্রথম দফা হামলা ঘটে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাত পৌনে ৮টার দিকে নগরের ল’ কলেজ সংলগ্ন এলাকায়, আর দ্বিতীয় দফাটি মধ্যরাতে একই স্থানে ঘটে।
হামলায় সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সদস্য সচিব আজিজুল হক আজিজসহ অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। এ সময় ৩১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ উঠে।
### **ঘটনার সূত্রপাত**
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো আজিজুল হক আজিজ ও তার অনুসারীরা ল কলেজের পাশে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেই সময় স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী অপু (আওয়ামী লীগ কর্মী মান্নানের ছেলে) তার গাড়ি সেখানে পার্ক করে রাখেন। এতে আজিজের অনুসারীদের সঙ্গে অপুদের বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়, যা এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে গড়ায়।
বিষয়টি শান্ত করতে আজিজ নিজেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টো তিনি নিজেই হামলার শিকার হন। অভিযোগ আছে, অপু, মঞ্জু, দিপু, মুজিব ও অপি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আজিজের ওপর আক্রমণ চালান এবং মাথায় আঘাত করেন।
### **দ্বিতীয় দফা হামলা ও উত্তেজনা**
আজিজ আহত হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার অনুসারীরা প্রতিশোধ নিতে ঘটনাস্থলে ফিরে আসে। তখন ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে মাছিমপুর এলাকার আরও শতাধিক ব্যক্তি নিয়ে আবারও হামলা চালানো হয়।
মধ্যরাতের এই হামলার পর বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে মাইকিং করে প্রতিবাদ শুরু হয় এবং সংঘর্ষের আশঙ্কায় সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
### **আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও তদন্ত**
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি জিয়াউল হক জানান,
> "ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। হামলার ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি, তবে তদন্ত চলছে।"
বর্তমানে মাছিমপুর এলাকা থমথমে অবস্থায় রয়েছে, এবং যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে।
---