শিরোনাম: ইউনূসের পদত্যাগ দাবিতে যমুনা ভবন ঘেরাও — আওয়ামী লীগ-বিএনপি ও সাধারণ জনতার একাত্মতা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা | ১৭ এপ্রিল ২০২৫
রাজধানীর রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন 'যমুনা'। সেখানে অবস্থান করছেন বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আর তাঁর পদত্যাগ দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা থেকে যমুনা ভবন ঘিরে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি।
আশ্চর্যজনকভাবে, এই বিক্ষোভে একাত্মতা প্রকাশ করেছে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল — আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। একইসঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন এবং শিক্ষার্থীরাও।
যমুনা ভবনের সামনে জড়ো হওয়া জনতার মুখে মুখে শোনা গেছে —
"পদত্যাগ চাই", "গণতন্ত্র চাই", এবং "জয় বাংলা"।
এই বিরল ঐক্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম বলেন,
“ড. ইউনূস একটি নির্দলীয় সরকার পরিচালনার অযোগ্য তা বারবার প্রমাণ হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে চলমান প্রক্রিয়ায় দেশের গণতন্ত্র হুমকির মুখে। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।”
অপরদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,
“আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। কিন্তু একজন ব্যক্তির একচেটিয়া সিদ্ধান্তে দেশ চলতে পারে না। ইউনূস সাহেবের উচিত সম্মানের সাথে পদত্যাগ করা।”
সাধারণ জনগণের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এক শিক্ষার্থী বলেন,
“রাজনীতি যেই করুক, আমরা দেশের ভবিষ্যৎ চাই। ইউনূস সাহেব দেশের জন্য যেটা ভালো, সেটা করুক — পদত্যাগ করুক।”
রাত একটার দিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে চেষ্টা করে, তবে এতে বিক্ষোভ আরও জোরদার হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার ভিতরে থাকা ড. ইউনূস এখনো কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি। তবে সূত্র বলছে, তিনি চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছেন।
এদিকে অনলাইন ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এই বিক্ষোভের ছবি ও ভিডিও। অনেকেই বলছেন, “এটা নতুন এক গণআন্দোলনের সূচনা”।
ইতি
ইনডিপেন্ডেন্ট নিউজ ডেস্ক
ঢাকা