**অবশেষে পদত্যাগ করলেন নেতানিয়াহু**
**আন্তর্জাতিক ডেস্ক | এপ্রিল ১৩, ২০২৫**
**দীর্ঘদিনের বিতর্ক, যুদ্ধনীতি ও জনরোষের মুখে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর অবসানঘোষণা**
অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন ইসরায়েলের বহু আলোচিত ও সমালোচিত প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আজ (১৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকালে এক জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি এই ঘোষণা দেন। এক দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা নেতানিয়াহু যুদ্ধনীতি, দুর্নীতির অভিযোগ ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বিদায় নিলেন রাজনীতির শীর্ষস্থান থেকে।
**গাজা যুদ্ধই শেষ ধাক্কা**
গত কয়েক মাসে গাজায় চালানো ইসরায়েলি অভিযান নিয়ে বিশ্বজুড়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। বিশেষ করে শিশু ও বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় মানবাধিকার সংগঠনগুলো নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তোলে। বাংলাদেশ, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো অনেক দেশ সরাসরি এই আগ্রাসনের নিন্দা জানায়।
ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও শুরু হয় বিরুদ্ধ স্রোত। লাখ লাখ মানুষ রাজপথে নামেন শান্তির আহ্বানে। দেশজুড়ে চলতে থাকে বিরতিহীন বিক্ষোভ। এসব চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত নেতানিয়াহু দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন।
**সংক্ষিপ্ত ভাষণে দায় স্বীকার**
পদত্যাগের ঘোষণায় নেতানিয়াহু বলেন,
*"আমি দেশের স্বার্থে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শান্তির জন্য এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমি কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাই না। দেশের গণতন্ত্র এবং সংহতি রক্ষাই এখন সবচেয়ে জরুরি।"*
**রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত**
তার পদত্যাগের পর কে হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী, তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক আলোচনা। কনজারভেটিভ ব্লক এখন বিভক্ত। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহে ইসরায়েলে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা আসতে পারে।
**আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া**
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা নেতানিয়াহুর পদত্যাগকে "একটি সময়োপযোগী ও শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনের সম্ভাবনা" হিসেবে দেখছে। ফিলিস্তিনের নেতারাও এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
**বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া**
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে,
*"নেতানিয়াহুর পদত্যাগ বিশ্ব শান্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আমরা আশা করি ইসরায়েল এখন একটি ন্যায়ের পথে ফিরে আসবে এবং ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক হবে।"*
---
**আপনার মতামত লিখুন:**
নেতানিয়াহুর পদত্যাগ কি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সম্ভাবনার সূচনা করবে? আপনার মতামত নিচে জানান।
---