ব্রেকিং নিউজ: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ গ্রেফতার

 

### **ব্রেকিং নিউজ: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ গ্রেফতার**  

**খুলনা, ৫ মার্চ ২০২৫** – **বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।**  

#### **গ্রেপ্তারের পটভূমি**  

কুয়েটে সম্প্রতি **বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে**। ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান সহিংস রূপ নেয়, যেখানে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তির ক্ষতি হয়।  

প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, এই সংঘর্ষের **পরিকল্পনার সঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহ সরাসরি জড়িত** ছিলেন। তিনি আন্দোলনকে সহিংস করার জন্য একাধিক উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।  

#### **অভিযোগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বক্তব্য**  

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, **"হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং তার অনুসারীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কুয়েটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। তদন্তে প্রমাণ মিলেছে যে তিনি সংঘর্ষ উসকে দেওয়ার প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন।"**  

তাঁর বিরুদ্ধে **নিম্নলিখিত অভিযোগ আনা হয়েছে**:  

1. **শিক্ষার্থীদের উসকানি দিয়ে সহিংসতা সৃষ্টি**  

2. **বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তির ক্ষতি সাধন**  

3. **আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাধা দেওয়া**  

#### **সরকার ও শিক্ষার্থী সমাজের প্রতিক্রিয়া**  

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, **"শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।"**  

অন্যদিকে, **বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকরা বলছেন, এটি শিক্ষার্থীদের কণ্ঠরোধের অপচেষ্টা**। তারা দাবি করছেন, **"হাসনাত আব্দুল্লাহ নির্দোষ এবং তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"**  

#### **পরবর্তী পদক্ষেপ**  

- তাঁকে আদালতে তোলা হবে এবং পুলিশ রিমান্ড চাইতে পারে।  

- কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

- শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ইতোমধ্যে **গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে**।  

#### **উপসংহার**  

এই গ্রেপ্তার কুয়েটের রাজনৈতিক ও শিক্ষার পরিবেশকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে। সরকার এটিকে **শৃঙ্খলা রক্ষার পদক্ষেপ** হিসেবে দেখলেও, সমর্থকরা মনে করছেন এটি **আন্দোলন দমনের কৌশল**। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা এখন সবার নজরে।