### **ঈদযাত্রী বহনকারী ট্রেনে সশস্ত্র হামলা: নিহত ৩, লুটপাটে আতঙ্ক**
**ঢাকা, ৩০ মার্চ ২০২৫:** ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে সরগরম ট্রেন স্টেশনগুলো। তবে এই উৎসবমুখর পরিবেশে ঘটে গেল এক ভয়াবহ ঘটনা। আজ রাতে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা **ঢাকা এক্সপ্রেস** ট্রেনে একদল দুর্বৃত্ত সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাট করেছে। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন এবং অন্তত দশজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
### **হামলার বিবরণ**
চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাছাকাছি পৌঁছালে একদল অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত হঠাৎ করেই ট্রেনের চারটি বগিতে চড়াও হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মুখোশধারী হামলাকারীরা প্রথমেই গুলি ছুঁড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং এরপর যাত্রীদের মোবাইল ফোন, নগদ টাকা, গহনা ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়।
একজন বেঁচে যাওয়া যাত্রী বলেন, **"আমরা ঈদের আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম, কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে ট্রেনজুড়ে চিৎকার আর কান্নার শব্দে ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তারা কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই গুলি ছোঁড়ে।"**
### **নিহত ও আহতদের পরিচয়**
এ ঘটনায় নিহত তিনজনের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে—তিনি হলেন **রাজীব হাসান (৩৫), একজন বেসরকারি চাকরিজীবী**। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
### **আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিক্রিয়া**
ঘটনার পরপরই রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। রেলওয়ে পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, **"এটি পরিকল্পিত ডাকাতির ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। অপরাধীদের ধরতে আমরা আশপাশের এলাকায় অভিযান চালাচ্ছি।"**
### **জনমনে আতঙ্ক ও প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি**
এই নৃশংস হামলার ঘটনায় সাধারণ মানুষ এবং বিশেষ করে ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রেলমন্ত্রী এক জরুরি বিবৃতিতে বলেন, **"আমরা অপরাধীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেব। ট্রেন নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।"**
### **উৎসবের আনন্দে কালো ছায়া**
ঈদের আগে এমন এক ভয়াবহ হামলার ঘটনা জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন কত দ্রুত এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে পারে।
➡ **আপনারা যদি এ বিষয়ে কোনো তথ্য জেনে থাকেন, তাহলে নিকটস্থ থানায় জানান অথবা জাতীয় হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন।**