**সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়কের বাসা থেকে ৩০০ কোটি টাকা জব্দ, সেনাবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার নাহিদ**
**ঢাকা, ১৫ এপ্রিল ২০২৫:**
জাতীয় রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযান। সাবেক প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের বাসভবন থেকে ৩০০ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগে সেনাবাহিনী তাকে গ্রেফতার করেছে।
### **অভিযান ও জব্দকৃত সম্পদ**
আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান এলাকার অভিজাত একটি বাসভবনে হঠাৎ করেই অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টিম। অভিযান পরিচালনাকারী দলের এক কর্মকর্তা জানান, গোপন সূত্রে তারা জানতে পারেন যে নাহিদ ইসলামের বাসায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ মজুত রয়েছে। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টার অভিযানে বাসার বিভিন্ন স্থান থেকে নগদ ৩০০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়।
একজন সেনা কর্মকর্তা বলেন, *"অভিযানে আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে টাকা উদ্ধার করেছি। ক্যাশ টাকা ছাড়াও বেশ কিছু মূল্যবান সম্পদের নথি এবং বিদেশে অর্থ পাচারের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পেয়েছি।"*
### **গ্রেফতার ও অভিযোগের বিবরণ**
অভিযানের সময় নাহিদ ইসলাম বাসায় উপস্থিত ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমে সেনা সদর দপ্তরে নেওয়া হয় এবং পরে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার দেখানো হয়। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সাম্প্রতিক কিছু তদন্তে তার সম্পদের অসঙ্গতি ধরা পড়ে। অভিযানে জব্দকৃত নথিপত্র থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
### **রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিক্রিয়া**
নাহিদ ইসলামের গ্রেফতার নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে এই গ্রেফতারকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করা হয়েছে। দলের মুখপাত্র এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, *"এই গ্রেফতার সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সরকার আমাদের দলের জনপ্রিয়তা কমানোর জন্য এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।"*
অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো নাহিদের গ্রেফতারকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দুর্নীতিবাজদের শাস্তি হওয়া উচিত। এক নেতা বলেন, *"আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। যারা দেশের সম্পদ লুট করেছে, তাদের বিচার হওয়া দরকার।"*
### **পরবর্তী পদক্ষেপ**
নাহিদ ইসলামকে কাল আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং ও দুর্নীতি দমন আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জব্দকৃত অর্থ রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।
সেনাবাহিনীর এই অভিযানে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ এমন পদক্ষেপকে দুর্নীতিবিরোধী লড়াইয়ের অংশ হিসেবে দেখছেন। তবে নাহিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ কতটা সত্য, তা বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।