ক্যান্টনমেন্টে উত্তেজনা: শেখ হাসিনার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে বিভক্ত সেনাবাহিনী, গোলাগুলির খবর

 ### **ক্যান্টনমেন্টে উত্তেজনা: শেখ হাসিনার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে বিভক্ত সেনাবাহিনী, গোলাগুলির খবর**  

**অনলাইন ডেস্ক | ১ লা মে ২০২৫**  

দেশের বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেনাবাহিনীর একটি অংশ শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার পক্ষে থাকলেও, অন্য অংশ এর তীব্র বিরোধিতা করছে। বিশেষ করে, কিছু সেনা সদস্য ছাত্র নামধারী জঙ্গিগোষ্ঠীর মতাদর্শ অনুসরণ করে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন প্রতিহত করতে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে বলে দাবি উঠেছে। এ নিয়ে সেনাবাহিনীর ভেতরেই মতপার্থক্য তীব্র হওয়ায় সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও মূলধারার গণমাধ্যম বিষয়টি প্রচার করছে না, তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গোলাগুলির খবর ছড়িয়ে পড়েছে।  

### **উত্তেজনার সূত্রপাত**  

বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সেনাবাহিনীর ভেতর দ্বিধাবিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। একটি শক্তিশালী গোষ্ঠী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে, যেখানে অপর একটি অংশ এই প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করছে। অভিযোগ রয়েছে, বিরোধিতাকারী দলটির সঙ্গে ছাত্র নামধারী উগ্রবাদী একটি গোষ্ঠীর মতাদর্শগত মিল রয়েছে। তারা মনে করছে, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন সামরিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করবে।  

### **গোলাগুলির খবর ও সেনাবাহিনীর নীরবতা**  

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, রাজধানীসহ কয়েকটি ক্যান্টনমেন্টে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে সেনাবাহিনী বা সরকারিভাবে এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। স্থানীয়ভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে, যা পরিস্থিতির গুরুত্বকে আরও স্পষ্ট করছে।  

### **মিডিয়ার নীরবতা ও প্রচারের সীমাবদ্ধতা**  

দেশের মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলো এ বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করছে না। বিশ্লেষকদের মতে, সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ সংকট প্রকাশ্যে এলে সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, তাই প্রচার নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।  

### **পরবর্তী পরিস্থিতি কী হতে পারে?**  

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সেনাবাহিনীর ভেতরকার এই বিভক্তি আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে। শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার প্রশ্নে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত বাধলে সামরিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়বে। সরকার ও সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা কী সিদ্ধান্ত নেন, তার ওপর দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।  

এই পরিস্থিতির আরও বিশদ তথ্য জানতে অপেক্ষা করতে হবে সেনাবাহিনীর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য।