শরীয়তপুর কীর্তিনাশা নদীতে ডাকাতি: আটক ৫ জন সক্রিয় শিবির কর্মী

 


### **শরীয়তপুর কীর্তিনাশা নদীতে ডাকাতি: আটক ৫ জন সক্রিয় শিবির কর্মী**  


**শরীয়তপুর, ১ মার্চ ২০২৫:** শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীতে বাল্কহেড ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে, যারা সক্রিয় শিবির কর্মী বলে গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা গেছে।  


#### **ডাকাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা**  

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে কীর্তিনাশা নদীতে একটি বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা করে একদল অস্ত্রধারী। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, ফলে সংঘর্ষ বাধে। ডাকাতরা পালানোর সময় গুলি ও হাতবোমা নিক্ষেপ করলে পাঁচজন আহত হন। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা সাতজন ডাকাতকে আটক করে, যাদের মধ্যে গণপিটুনিতে দুজন নিহত হন।  


#### **সক্রিয় শিবির কর্মীদের সম্পৃক্ততা**  

পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে উঠে এসেছে যে আটককৃত সাতজনের মধ্যে পাঁচজনই ছাত্রশিবিরের সক্রিয় কর্মী। তারা আগে থেকেই বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “এই পাঁচজন দীর্ঘদিন ধরে গোপনে সংগঠিত হয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল। তারা ডাকাতির মাধ্যমে সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিল বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।”  


#### **আটককৃতদের পরিচয় ও অতীত অপরাধ**  

আটক পাঁচ শিবির কর্মীর মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক মামলা ছিল। তাদের নাম ও বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি, তবে জানা গেছে তারা শরীয়তপুর ও আশপাশের জেলাগুলোর বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, তারা রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল।  


#### **আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপ**  

শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা তদন্ত করছি এবং প্রমাণ সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে অপরাধ করছে, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”  


#### **জনমনে উদ্বেগ ও প্রতিক্রিয়া**  

এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এলাকাবাসী মনে করছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি ও সক্রিয় পদক্ষেপ না নিলে এ ধরনের অপরাধ বাড়তে পারে।  


#### **উপসংহার**  

শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীতে সংঘটিত এই ডাকাতির ঘটনায় রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, তদন্তে আরও কী তথ্য বেরিয়ে আসে এবং অপরাধীদের কী ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post