### **"আমাকে নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে অন্তর্বর্তী সরকারের ইতি টেনে দেবো"—সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি?**
**নিজস্ব প্রতিবেদক **
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক মন্তব্য। গুঞ্জন চলছে, তিনি বলেছেন— **"আমাকে নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে অন্তর্বর্তী সরকারের ইতি টেনে দেবো।"** এ বক্তব্য ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
### **অন্তর্বর্তী সরকার ও সামরিক বাহিনীর অবস্থান**
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার শুরু থেকেই সেনাবাহিনীর **"নীরব সমর্থন"** নিয়ে চলছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
- **সাম্প্রতিক সময়ে অন্তর্বর্তী সরকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও প্রশাসনিক রদবদল করেছে, যা সেনাবাহিনীর অসন্তোষের কারণ হতে পারে।**
- **নির্বাচনের রূপরেখা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে, যা নিয়ে অভ্যন্তরীণ অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।**
### **সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি: রাজনীতিতে কি সেনাবাহিনীর সরাসরি হস্তক্ষেপ আসছে?**
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, **সেনাপ্রধানের এই বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তিনি আর নীরব দর্শক থাকবেন না**। কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন—
> **"সেনাবাহিনীর ওপর অহেতুক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমাকে নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা হলে, সরকার কীভাবে চলবে তা নিয়েও ভাবতে হবে।"**
এ বক্তব্যের পেছনে কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ থাকতে পারে:
1. **সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করার অভিযোগ**
- অন্তর্বর্তী সরকার সেনাবাহিনীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাজেট ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনতে চাইছে, যা শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছে।
2. **নির্বাচনী পরিকল্পনা নিয়ে মতবিরোধ**
- সেনাবাহিনী চায় একটি **"নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন"**, যেখানে তারা কৌশলগত অবস্থান বজায় রাখতে পারবে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার **একটি স্বাধীন ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নির্বাচন** চায়।
3. **ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য হস্তক্ষেপ**
- ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাতে পারে। **সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক মন্তব্য এ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তিনি আন্তর্জাতিক কূটনীতির নতুন সমীকরণে একটি বড় ভূমিকা নিতে চান।**
### **কেন এই বক্তব্য এখন গুরুত্বপূর্ণ?**
- সামরিক বাহিনী যদি সত্যিই অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ বাড়ায়, তাহলে **দেশে নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে**।
- **এটি কি সামরিক বাহিনীর ভবিষ্যৎ পদক্ষেপের পূর্বাভাস?** অনেকে মনে করছেন, এটি **একটি প্রাথমিক হুঁশিয়ারি**—যদি সরকার তাদের বিরুদ্ধে যায়, তাহলে **সেনাবাহিনী সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে**।
- **বিদেশি কূটনীতিকরা ইতিমধ্যে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন**, কারণ এ ধরনের মন্তব্য বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার জন্য বড় সংকেত বহন করে।
### **সামনের দিনগুলোতে কী হতে পারে?**
1. **সেনাপ্রধান কি সত্যিই কোনো ব্যবস্থা নেবেন?**
- এটি নির্ভর করছে সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্তের ওপর। যদি অন্তর্বর্তী সরকার সেনাবাহিনীর কিছু দাবিকে উপেক্ষা করে, তাহলে সংঘাত তীব্র হতে পারে।
2. **রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়বে?**
- সেনাবাহিনী যদি সরাসরি রাজনৈতিক অঙ্গনে হস্তক্ষেপ করে, তাহলে **গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে**।
3. **আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া কেমন হবে?**
- যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ ইতোমধ্যে **বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর ভূমিকাকে সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে**।
### **শেষ কথা**
সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক মন্তব্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন দিক উন্মোচন করেছে। **এটি কি শুধুই একটি হুঁশিয়ারি, নাকি সত্যিই সামরিক বাহিনী নতুন কোনো পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে?** আগামী কয়েক সপ্তাহের ঘটনাবলি বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিতে পারে।