রাজনৈতিক প্রতিবেদন | তারিখ: ৬ মে, ২০২৫ | ঢাকা
"যমুনার ধারে সংঘর্ষের ছায়া: করিডোর ইস্যুতে ড. ইউনুস বনাম জেনারেল ওয়াকার"
ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র, গুলশানের যমুনা ভবনে আজ রাতের নিস্তব্ধতা হঠাৎই ভেঙে যায় গাড়ির সাইরেন, টহলদার সেনা ট্রাক ও টেলিকম জ্যামারের ভোঁ ভোঁ শব্দে। একটি অভূতপূর্ব পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, মানবিক করিডোর ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস এবং সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের মধ্যে আজ সন্ধ্যায় এক তীব্র বিতর্কে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় রাত ১১টার দিকে, যখন মন্ত্রিসভার একটি গোপন বৈঠকে ড. ইউনুস দক্ষিণাঞ্চলে একটি 'মানবিক করিডোর' চালু করার প্রস্তাব দেন। তার মতে, যুদ্ধবিধ্বস্ত জনগণের জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পাঠানো মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গ। কিন্তু সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান তাৎক্ষণিকভাবে আপত্তি জানান। তার যুক্তি ছিল, এ ধরনের করিডোর রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৈঠক শেষে সেনাপ্রধান সরাসরি সেনা সদর দফতরে ফিরে যান এবং রাত ১টার দিকে যমুনা ভবনের চারপাশে সেনাবাহিনীর বিশেষ ইউনিট মোতায়েন করা হয়। বিভিন্ন সূত্র বলছে, ভবনের বাইরে সামরিক যান ও সশস্ত্র সদস্যদের উপস্থিতি নজরে পড়েছে।
গণমাধ্যম ও কূটনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠেছে—সেনাবাহিনী হয়তো "জরুরি ক্ষমতা" গ্রহণের পথে হাঁটতে চলেছে। যদিও এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা আসেনি, তবে দেশব্যাপী টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে বিশেষ সম্প্রচার শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “সেনাপ্রধান মনে করছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এখন দ্রুত ও কঠোর সিদ্ধান্ত দরকার। ড. ইউনুসের প্রস্তাব অনাকাঙ্ক্ষিত উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে।”
এদিকে যমুনা ভবনে থাকা নিরাপত্তা সদস্যরা আগত সাংবাদিকদের ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। ভবনের ভেতরে কী চলছে, তা এখনো অজানা। তবে ঢাকাজুড়ে এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা নেমে এসেছে। রাস্তায় জনসাধারণ কম, মোবাইল নেটওয়ার্কে বিঘ্ন দেখা যাচ্ছে, এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়াতে শুরু করেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে এক জরুরি বিবৃতি আসতে পারে বলে জানা গেছে। দেশজুড়ে উত্তেজনার মধ্যেই বাংলাদেশ যেন দাঁড়িয়ে এক অনিশ্চিত সন্ধিক্ষণে।