### **সেনাপ্রধানের সঙ্গে ড. ইউনূসের মধ্যরাতের বৈঠক: গ্রেফতারের আশঙ্কা?**
**ঢাকা | ৯ এপ্রিল ২০২৫**
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধানের আকস্মিক বৈঠক ঘিরে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় প্রথম দফায় বৈঠকের পর রাত ১:৩০ মিনিটে সেনাপ্রধান তাকে ফের আলোচনার জন্য তলব করেছেন। এই অপ্রত্যাশিত ডাকে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে—তাহলে কি ড. ইউনূসের গ্রেফতার আসন্ন?
### **কি নিয়ে আলোচনা?**
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যার বৈঠকে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সাম্প্রতিক কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে কেন রাতের গভীরে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকের প্রয়োজন পড়ল, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে সামরিক বাহিনীর মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। বিশেষ করে প্রশাসনে সামরিক হস্তক্ষেপ সীমিত রাখার বিষয়টি সেনাবাহিনী ভালোভাবে নেয়নি।
### **গ্রেফতারের গুঞ্জন কতটা বাস্তব?**
রাজনৈতিক মহলের একটি অংশ মনে করছে, সেনাবাহিনী হয়তো ড. ইউনূসকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। কিছুদিন ধরে সরকারবিরোধী আন্দোলন ও বিদেশি শক্তির ভূমিকা নিয়েও আলোচনা চলছে, যা সেনাবাহিনীকে আরও সক্রিয় করেছে।
তবে ড. ইউনূস ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, তিনি কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না এবং তার নেওয়া সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন।
### **দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়া**
আন্তর্জাতিক মহলও এ বৈঠকের দিকে নজর রাখছে। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হলে বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
তবে সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, এই বৈঠক কেবলমাত্র জাতীয় নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্যই ডাকা হয়েছে। কিন্তু মধ্যরাতের এই বৈঠকের আকস্মিকতা সন্দেহের সৃষ্টি করেছে।
সিদ্ধান্ত কী হতে যাচ্ছে, তা জানা যাবে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। দেশজুড়ে চাপা উত্তেজনার মধ্যেই সবার নজর এখন সেনাপ্রধান ও ড. ইউনূসের বৈঠকের ফলাফলের দিকে।
— **সংবাদ প্রতিবেদন, ঢাকা**